'ভারতের ইচ্ছায় প্রতিরক্ষা সাজালে স্বাধীনতা থাকবে না'


ভারতের ইচ্ছানুযায়ী প্রতিরক্ষা সাজালে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তারা এমন আশংকা প্রকাশ করেন।

এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে প্রতিরক্ষা চুক্তির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের কারণে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমাদের দেশের তিন দিকে ভারত আর একদিকে সমুদ্র।  যে দেশের সবদিকে বন্ধুরাষ্ট্র সেখানে দেশের প্রতিরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কেন?'

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, 'বন্ধুরা কেন আমাদেরকে প্রতিরক্ষা দিতে উৎসুক হয়ে উঠেছেন? কেনই-বা আমাদের সরকারের প্রতিরক্ষা নিয়ে এতো দুশ্চিন্তা? সরকারকে আহ্বান জানাবো- এ প্রশ্নের জবাব দেশের ১৬ কোটি মানুষের কাছে দিন।'

'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়'- দেশের এমন পররাষ্ট্রনীতির কথা উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, 'তাহলে এ প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়টি কেন? ভারত কেন আমাদের ওপর এটি চাপিয়ে দিচ্ছে?'

আলোচনা সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'কোনো রাষ্ট্রবিরোধী প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে এ দেশের জনগণ মানবে না, নিরাপত্তা বাহিনী মানবে না, কেউ মানবে না। তারা প্রতিরোধে এগিয়ে যাবে।'

তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, 'যদি বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা স্বার্থকে আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, তাহলে সত্যিকার অর্থে আমরা আমাদের স্বাধীনতা হারাব।'

'এর পরিণতি যে কী ভয়ংকরের দিকে যাবে সেটি এখন থেকেই অনেক মানুষ বুঝতে পারছেন, জনগণ উপলব্ধি করতে পারছেন। ভারতের ইচ্ছানুযায়ী দেশের প্রতিরক্ষা সাজালে স্বাধীনতা থাকবে না' যোগ করেন রিজভী।

বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার যেভাবেই হোক ক্ষমতায় থাকতে চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব থাকল কি না সেটি তারা পাত্তা দেয় না। প্রভুদের সন্তুষ্ট করাই তাদের কাজ।'

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, 'একের পর এক চুক্তি হচ্ছে, কিন্তু দেশের জনগণকে কিছুই জানানো হচ্ছে না। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কী কী চুক্তি হয়েছে- তা কিন্তু প্রকাশ করা হয়নি। এটি অত্যন্ত একটি বিপজ্জনক বিষয়। এখন  যেটি আগে থেকেই আশংকা করছিলাম, সেই প্রতিরক্ষা চুক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। সরকার এসব চুক্তি করতেই জাতীয়তাবাদী শক্তির ধারাবাহিক নেতৃত্বকে বিপর্যস্ত করছে।'

'ভুলণ্ঠিত গণতন্ত্র, নিষ্পেষিত জনগণ, ভঙ্গুর অর্থনীতি' শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দল নামের একটি সংগঠন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১১তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাদেক খান, নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।

সূত্র:  যুগান্তর
'ভারতের ইচ্ছায় প্রতিরক্ষা সাজালে স্বাধীনতা থাকবে না' 'ভারতের ইচ্ছায় প্রতিরক্ষা সাজালে স্বাধীনতা থাকবে না' Reviewed by সম্পাদক on March 07, 2017 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.